| |
               

মূল পাতা জাতীয় নতুন মজুরি নিয়ে যা বললেন শ্রমিকদের প্রতিনিধি রনি 


নতুন মজুরি নিয়ে যা বললেন শ্রমিকদের প্রতিনিধি রনি 


রহমত নিউজ ডেস্ক     07 November, 2023     06:21 PM    


পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণার বিষয়ে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি ও মজুরি বোর্ডে থাকা শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, আমরা খুশির অবস্থায় নেই। রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি মিলিয়ে আমরা এটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমরা খুশিও না, বেজারও না। এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকলেও আমরা আপাতত এটা মেনে নিয়েছি। আমাদের অনেকগুলো দাবি আছে, গেজেট হওয়ার সময় সেগুলো পরিষ্কার হওয়া যাবে। আমি ৪০ বছর ধরে এই খাতে কাজ করছি। আমাদের বাস্তব অবস্থাকে বিবেচনায় নিতে হবে। শ্রমিকরা যাতে কর্মচ্যুত না হয়, তাদের যেন বাড়ি ফিরে যেতে না হয়, তাদের অবস্থা আমাদের দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা (মজুরি প্রসঙ্গে) দিয়েছেন... সে অনুসারে আমরা মনে করি, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বেঁচে থাকার জন্য এটা মোটামুটি একটা অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াবে। এটা গ্রহণযোগ্য। 

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণী সভা শেষে তিনি এসব  কথা বলেন। এর আগে, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের ছয় দফা বৈঠক শেষে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আমরা এটা ঘোষণা করছি। ন্যূনতম মজুরি ৫৬.২৫ শতাংশ বাড়বে। আট হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা হবে। সঙ্গে বছরে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট থাকবে। ফলে পোশাক কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকদের ন্যূনতম সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে।

এদিকে পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও মজুরি বোর্ডে থাকা মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মালিকপক্ষ সবসময় সহনশীল। মালিকপক্ষের সামনে দিয়ে যখন শ্রমিকরা ভাঙচুর করে, আমরা কিন্তু কখনো আমাদের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাই না। শ্রমিকরা কাজ করেনি, তারপরেও ফ্যাক্টরি বন্ধ রেখেছি, আমরা যথেষ্ট সহনশীল। ডিসেম্বরের বেতন নতুন বেতনের আলোকে হবে। গেজেট এখনই করতে দেবে, কোনো সংশোধন থাকলে ১৪ দিনের মধ্যে করা হবে। এরপরে আরেকটি মিটিং হবে, সেই মিটিংয়ে সবকিছু ফাইনাল করা হবে। এখনই গেজেট করতে দেওয়া হবে। তাতে যদি কোনো সংশোধন থাকে, সেটি ১৪ দিনের মধ্যে করা হবে। ১৪ দিন পর আরেকটি বৈঠক হবে, সেখানে গেজেট চূড়ান্ত করা হবে।